অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি বলেছেন, দেশের মেরিটাইম খাতকে পুরোপুরিভাবে কাজে লাগাতে পারলে রিজার্ভের পরিমাণ দুইশ’ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতো।
তিনি আজ জেলার ছোটজয়নগরে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম একাডেমি পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন।
এ সময় মেহের আফরোজ চুমকী এমপি, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম একাডেমীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমদাদুল হক চৌধুরী, একাডেমীর কমান্ডেন্ট জাকী আহাদসহ ফ্যাকাল্টি মেম্বার্স ও ক্যাডেটরা উপস্থিত ছিলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার অনেকটা মেরিটাইম সেক্টর থেকে আসে। মেরিন ক্যাডেট ও রেটিংসরা দেশি বিদেশি জাহাজে চাকুরি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে।
তিনি বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে অর্থনীতির প্রধান হাতিয়ার হতে পারে মেরিটাইম সেক্টর।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেরিটাইম ভিশনকে অনুসরণ করেই আমরা কাজ করে করছি। বঙ্গবন্ধুই টেরিটোরিয়াল জোন এবং মেরিটাইম বাউন্ডরি এ্যাক্ট প্রণয়ন করেন। আমরা যা অর্জন করেছি, তা আমাদের মহান নেতার হাত ধরে এসেছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে মেরিটাইম সেক্টর অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সবচেয়ে বেশি আঘাত আসে এই মেরিটাইম সেক্টরে। তাই এই সেক্টর তেমন আগায়নি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মেরিন ক্যাডেট তৈরির জন্য চট্টগ্রামে আমাদের মাত্র একটি মেরিন একাডমী ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নির্দেশনায় রংপুর, পাবনা, সিলেট এবং বরিশালে আরো চারটি নতুন মেরিন একাডেমী নির্মিত হয়েছে। এতে বেশি সংখ্যক ক্যাডেট প্রতিবছর মেরিন বহরকে সমৃদ্ধ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে, যা আমাদের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, জাহাজের রেটিং তৈরির জন্য চট্টগ্রামে একটি মাত্র মেরটিাইম ইন্সটিটিউট ছিল। ইতিমধ্যে মাদারীপুরে একটি মেরিটাইম ইন্সটিটিউট নির্মাণ করা হয়েছে। কুড়িগ্রামে আরো একটি মেরিটাইম ইন্সটিটিউট নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এতে দেশি-বিদেশি জাহাজে রেটিংদের চাকুরির ক্ষেত্র আরো বৃদ্ধি পাবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে আরো সহায়ক হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির চলমান টালমাটাল অবস্থার মধ্যেও আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যথেষ্ট শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। করোনাভাইরাসের মহামারীর সময়কাল ও বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যেও আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে, যা বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন অনুযায়ী ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে প্রবেশ করবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।
পরে প্রতিমন্ত্রী একাডেমীতে ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন করেন।
Leave a Reply